মন শান্ত করার জন্য ধূনা+কপূর+শুদ্ধ ঘি-এর ধুনি প্রজ্জ্বলন প্রয়োগ বিধি সহিত=>

#Dhuni bidhi

ধুনি কি? অনেক সময় সাধক যখন তার জপ অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকেন, বা ধ্যানমগ্ন অবস্থায় থাকেন তখন তার পক্ষে বার বার হোমে বা যজ্ঞে আহতি দেওয়া সম্ভব হয় না! তখন সে হোমের স্থানে কিছু বিশেষ ঔষধি কাষ্ঠ অথবা গরুর ঘুঁটে দিয়ে ধূম্র প্রজ্জ্বলন করত। তাকে সাধনার ভাষায় ধুনি বলা হয়।
এখানে মনকে শান্ত করার জন্য সেই ধুনি সাধনারই একটি বিশেষ প্রয়োগের বর্ণনা করা হলো। যাতে প্রতিটি গৃহস্থ সাধক এটিকে নিত্য পুজোতে করে শান্ত মনে, একাগ্রভাবে অনুষ্ঠানটির সম্পন্ন করতে পারে।
উপকরণ-(১) ধূনাচি, (২) ঘুঁটে /নারকেলের ছোবড়া, (৩) ধূনা, (৪) কর্পূর, (৫) শুদ্ধ দেশি ঘি।

পদ্ধতি- প্রথমে একটি ধূনাচি নিয়ে সেটিতে ঘুঁটের টুকরো গুলি অথবা নারকেলের ছোপরা দিয়ে সেটিকে প্রচলিত করতে হবে। এরপর যখন তা থেকে সামান্য ধোঁয়া বেরোতে শুরু করবে তখন, একটি পাত্রে পাঁচ ভাগ ধূনা – এক ভাগ কর্পূর মিশিয়ে নিয়ে ঘি টিকে দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে।

এরপর কিছুটা এই উপকরণ হাতে নিয়ে “ॐ সোম্ সোমায় নমঃ” মন্ত্রটি ১১ বার উচ্চারণ করে অভিমন্ত্রিত উপকরণটিকে সমগ্র উপকরণের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে তা থেকে তিন চিমটা নিয়ে সেই ধোঁয়ায় দিতে হবে। এবং সেটিকে পূর্ণ বাড়িতে ঘুরিয়ে ঠাকুর ঘর বা শোবার ঘর অথবা বাচ্চাদের পড়াশোনা ঘরে সতর্কতার সাথে রেখে দিবেন। এবং যদি সম্ভব হয় এই সময় ঘরে জানালো বলে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখবেন। যাতে করে ধোঁয়াটি ঘরের মধ্যে স্থিত হতে পারে। ঘুমাবার আগে এই প্রয়োগটি শোবার ঘরে করে ঘুমাতে গেলে রাতের ঘুমটি খুব ভালো হয়।

পরীক্ষার আগে বাচ্চাদের মনে ভয়ের উদ্যোগ হয়, যদি এই সময় তাদের পড়ার ঘরে এই প্রয়োগটি করা যায় তবে তা তাদের অবাঞ্ছিত চিন্তা থেকে মুক্ত করে এবং পড়াশোনায় মনকে একাগ্র করতে বিশেষ সাহায্য করে।
(এই বিষয়ে আরও পরামর্শের জন্য অথবা হস্তরেখা ও জ্যোতিষ বিষয়ে পরামর্শের জন্য এই নম্বরে 8420070356 whatsapp করুন। এটি সামান্য শুল্ক পরিষেবার অন্তর্গত।)

Leave a comment